জনগণকে এবার বাড়ির কাছে পাসপোর্ট সেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে আরও ১৭টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের বিদ্যমান চারটি পাসপোর্ট অফিসের পরিসর আরও বড় করার উদ্যোগও নিয়েছে সরকার। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সুরক্ষা সেবা বিভাগের বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতর এবং গণপূর্ত অধিদফতর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। গত ২৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদিত হয়েছে প্রকল্পটি।

প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৮ কোটি ৩৯ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে এ প্রকল্পের কাজ। আট বিভাগের ২১টি জেলা সদরে এসব ভবন নির্মাণ ও সম্প্রসারণের কাজ হবে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, ১৭টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবন এবং সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও যশোর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবন সম্প্রসারণের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিরাপদ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে এ প্রকল্প নিয়েছে সরকার।

প্রকল্প প্রস্তাবনায় জানা গেছে, এসব অফিস ভবনের জন্য ১৪ হাজার ৬৫ দশমিক ২২ বর্গমিটার জায়গার প্রয়োজন হবে। চার একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে। ৩৭ হাজার ৫৩৭ দশমিক ৩৯ ঘনমিটার ভূমি উন্নয়ন করা হবে এবং প্রকল্প এলাকায় পানি সরবরাহ ও বিদ্যুতায়ন করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে, দরপত্রের শিডিউল পরিবর্তন, ভূমি অধিগ্রহণ খাতে ব্যয় এবং বাস্তবায়নের মেয়াদ দেড় বছর বাড়ানোর কারণে প্রকল্পটিতে সংশোধন আনা হয়েছিল।

কমিশন আরও জানিয়েছে, প্রকল্পটি চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের এডিপিতে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দসহ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সরকারের ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন-এর গাইডলাইন মোতাবেক এমআরপি ও মেশিন রিডেবল ভিসা (এমআরভি) এবং ই-পাসপোর্ট-এর কার্যক্রম নেওয়ার উল্লেখ রয়েছে।

একনেকের সভায় উপস্থাপনের আগে প্রকল্পটি সম্পর্কে পরিকল্পনা কমিশন তার মতামতে বলেছে, এটি বাস্তবায়িত হলে পাসপোর্ট সেবা দ্রুত ও সুষ্ঠু হবে।

এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, জনসাধারণের পাসপোর্ট পাওয়া সহজ করতে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। বাস্তবায়ন শেষে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন, হয়রানি কমবে।